“বিশেষ রকমের কয়েকটি পুরনো সময়ের টাকা কাছে থাকলেই তা বেচে খুব সহজেই কোটিপতি বা লাখপতি হওয়া যেতে পারে। আজকাল এমন ধরনের বিভিন্ন খবর বিভিন্ন সংবাদ পত্রে শোনা যায়। কিন্তু এই ধরনের টাকা কিভাবে বিক্রি করতে হবে, কোন স্থানে বিক্রি করা যাবে এটা অনেকেই জানেনা। এজন্যই এর আগেও অনেকবার আমাদের ওয়েবসাইটের তরফ থেকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশেষ অনেকগুলি মূল্যের যেমন ২০টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা এবং ১০০ টাকা মূল্যের পুরনো হয়ে যাওয়া নোট বিক্রির জন্য আপনাদের জানিয়েছি। আর আজ আবার এই প্রতিবেদনের সাহায্য এমনই আরও অনেকগুলি পুরনো নোট বিক্রির সন্বন্ধে আপনাদের জানাব।”
এই যুগে মানুষের প্রতিদিনের জীবনে ব্যাবহৃত অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দিনে দিনে বেড়েই যাচ্ছে। আর এতে সাধারণ মানুষ প্রত্যেক মাস ধরে পরিশ্রম করে যে টাকা আয় করে করে তার সাহায্যে ঘর চালাতে সকল ব্যক্তি ওই হিমসিম খাচ্ছেন। এই কারণে সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে ও ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমিয়ে রাখতে অনেকেই বেশি পরিমাণ টাকা উপার্জন করার পথ খুঁজে বেড়াই। আজ আমরা এরকমই কয়েকটি পুরাতন সময়ের টাকার বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি , যা বিক্রি করে আপনি অতি সহজেই রাতারাতি লাখপতি বা কোটিপতি হয়ে উঠতে পারবেন।
এই পৃথিবীতে এখনও এমন অনেক মানুষ আছেন যারা জীবনে অন্য সকল সখ আহ্লাদ গুলির সাথে সাথে একটি বিচিত্র রুপের সখ রয়েছে। আর সেটি হল আগের সময়ের টাকা বা পয়সা জামা করেন। এদের কাছে কোনভাবে যদি কোনো পুরাতন সময়ের টাকা এসে যায় তাহলে এরা সেগুলি যত্নসহকারে নিজেদের আলমারির লকারে সঞ্চয় করে রাখেন। তারপর অনেকদিন পরে সেই টাকা গুলি খরচ না করে সংগ্রহীত রাখার কারণে সেগুলি যেই সময় বাজারে অচল হয়ে যায় সেইসময় তারা মনে করেন যে এই টাকা গুলি রাখাই বৃথা। তাই তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এই পুরনো দিনের নোট জমিয়ে রাখার অভ্যাসকে বৃথা মনে করে একেবারেই ভুল করবেন না। এই টাকা গুলি বেচে আপনি লাখ বা কোটি টাকা অর্জন করতে পারেন।
এটা শোনা যাচ্ছে যে কারোর কাছে যদি আগেরকার দিনের ১ টাকা, ৫ টাকা, ৫০ টাকা, ২০ টাকার টাকা থাকে তাহলে আপনার ভাগ্য খুবই ভাল। সেগুলি বেঁচে আপনি ৫ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। তবে সেই টাকা সাধারণ টাকা হলে চলবে না। তার কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তা বিক্রি করে আপনি ভাল টাকা উপার্জন করতে পারবেন। চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক যে টাকা গুলির কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার।
১ থেকে ২০ টাকার নোটে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার?
১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকার নোটের মধ্যে যে বৈশিষ্ট্য গুলি থাকা দরকার সেগুলি হল-
- এই টাকা গুলি ১৯৭০ ও ১৯৮০ সালের মধ্যেকার হতে হবে।
- নোএর পিছের দিকে ট্রাক্টরের ছবি থাকা দরকার। সেই ক্ষেত্রে নোট গুলি বিক্রি করে তার জন্য ৩ লক্ষ টাকা পাওয়া সম্ভব।
- এছাড়াও সেই নোট গুলির নম্বর যদি ৭৮৬ হয় তাহলে সেই নোট গুলি বিক্রি করে তার বিনিময়ে ৬ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে।
কিভাবে নোট গুলি বেচতে পারবেন?
এখানকার জগ হল অনলাইন শপিং এর যুগ। এই কারণে টাকা গুলি বিক্রি করার জন্য বাইরে কোথাও যেতে হবে না। বাড়িতে বসে আপনি বিভিন্ন রকমের Old Note সেলিং সাইটের মাধ্যমে এই নোট বেচতে পারবেন। এর জন্য যা করা দরকার সেগুলি হল-
১) প্রথমেই OLX বা IndiaMART.com এর মতো কিছু ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে নিজের ইমেল আইডি ও ফোন নাম্বার দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
২) এরপর টাকা গুলির মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে আপলোড করতে হবে। আর সাথে বিক্রয়কারী হিসেবে আপনার নিজের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।
৩) এরপর ওয়েবসাইটে আপনার দেওয়া নোট গুলির বিজ্ঞাপন দেখা যাবে। এই বিজ্ঞাপন দেখার পরে যদি কেউ এই টাকা গুলি কিনতে আগ্ৰহী হয় তাহলে তিনি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
৪) এরপর নোটের গুণমান অনুসারে মূল্য আপনাকে দিয়ে আপনার থেকে কিনে নেবেন।
তবে একটা বিষয়ে জানা দরকার ইদানিং এই রকমের নোট বিক্রি নিয়ে চারিদিকে অনেক জালিয়াতি হচ্ছে। তাই সাবধানতাই ভেবে কাজ করবেন। এবং ভুলকরেও নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ দেবেননা। বিজ্ঞাপন অনলাইনের মাধ্যমে দিলেও বিক্রির কাজটি অফলাইনের মাধ্যমে করাই ভাল।
Join our Group