88 হাজার কোটি টাকার ধূর্ততা!, এই অভিযোগ উঠল খোদ নিজ RBI-এর ছাপাখানার উপর! অনেক ইংরেজি খাবরের রিপোর্টে এটা দাবি করা হল, দেশের ট্যাঁকশালে নতুন 500 টাকার 8,810.65 মিলিয়ন টাকা ছাপানো হল। কিন্তু RBI-এর কাছে আসল মাত্র 7,260 মিলিয়ন নোট। বাকি যে পরিমাণ নোট গায়েব হয়ে গেল বলে অভিযোগ উঠল, এর মোট মূল্য প্রায় 88,000 কোটি টাকা! সম্প্রতি একটি RTI -এর তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যা নিয়ে দেশের আর্থিক ব্যবস্থাই বিরাট ঝামেলা বেধেছে।
রিপোর্টের দাবি অনুসারে ছাপা দেওর পর RBI -এর কাছে যাওয়ার সাথে সাথেই 1760 মিলিয়ন অর্থাৎ176 কোটি 500 টাকার নোট আচম্কিক ভাবে উধাও হয়ে গেল। এখনো RBI -এর তরফে এখনও কোনও খবর সামনে আনা হলনা।
বিভিন্ন খবরে দাবি করা হয়েছে, RTI এর এই তথ্য আনজাই, নাসিকে নোটের ছাপাখানায় ২০১৫ থেকে ২০১৬ এর মধ্যে ৫০০ টাকার প্রায় ৩৭৫.৪৫০ মিলিয়ন নোট ছাপানো হল। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রেকর্ডে দেখা যায় সেখানে এসেছে মাত্র 345 মিলিয়ন নোট। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এখনও এই বিষয়ে মুখ খোলেনি।
মনোরঞ্জন রায় নামে ওই ব্যক্তির করা RTI এই প্রসঙ্গ তুলে রিপোর্টে দাবি করা হল , ২০১৫ সালের এপিল থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর নাসিকের ছাপাখানায় ৩৭৫.৪৫০ মিলিয়ন সংখ্যক ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল, কিন্তু এর মধ্যে RBI পেয়েছে ৩৪৫ মিলিয়ন সংখ্যক নোট।
প্রসঙ্গত দেশে মোট ৩টি ট্যাঁকশাল রয়েছে। যেখানে নোট তৈরি করা হয়। এগুলির মধ্যে একটি আছে বেঙ্গালুরুতে, একটি আছে নাসিকে ও অপরটি রয়েছে দেওয়াসে। এই ট্যাঁকশালগুলোতে নোট ছাপানো হওয়ার পরে সম্পূর্ন দেশে চালু করার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভল্টে পাঠানো হয়। এই রিপোর্টে টিতে দাবি করা হচ্ছে এই টাকা ছাপানো ও ভল্টে পাঠানোর মধ্যেই হয়েছে ভুল। আরটিআইকারী মনোরঞ্জন রায় বল্লেন1760.65 মিলিয়ন নোট, যেগুলি অদৃশ্য হয়ে গেল তা দেশের সিকিউরিটি নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।
নিজে, RBI -এর ছাপাখানা থেকে ছাপানোর পর টাকা অদৃশ্য কেন্দ্র সরকারে নিশানা করতে বন্ধ করেনি বিরোধীরা। মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলের এক নেতা অভিযোগ করেছেন নাসিক, দেওয়াস এবং বেঙ্গালুরুতে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা ছাপানো কেন্দ্র থেকে ছাপানো হল বিলিয়ন বিলিয়ন 500 টাকার নোট হারিয়ে গিয়েছে।
Join our Group